Skip to main content

Posts

Showing posts from 2022

ভবিষ্যতের মানুষ

                                                     ভবিষ্যতের মানুষ ১৭ নভেম্বর, সদ্যসমাগত বিশ্ব দর্শন দিবস। সেকেলে অর্থে দর্শন মূলতঃ জ্ঞানের প্রকৃত স্বরূপ অন্বেষণের তৎপরতা। বিষ্ময় নয়, সংশয় ও বিভ্রম থেকেই দর্শনের উৎপত্তি (সায়মন ক্রিশলী, ২০১০)। কাজেই জ্ঞানকাণ্ডের দিক থেকে দর্শন জ্ঞানচর্চার বিশেষ পদ্ধতি ও প্যারাডাইম সম্বলিত বিষয়। জীবন ও জগত সম্পর্কিত মানবীয় সমস্যার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দ্বারা নতুন বোধোদয় ঘটিয়ে মানুষের সংবিৎ ফেরানো দর্শনের কার্যকরী দিক। সমাধান নয়, বরং সমস্যার নতুন অর্থ তৈরি করা, সেন্স তৈরি করা এবং নতুন ব্যাখ্যা দেওয়াই দার্শনিকের কাজ। তাই, দর্শনের চিন্তাগত ঐতিহ্য ও গুরুত্ব অনুধাবন করে অধুনা বিশ্বে মানুষের যাবতীয় সমস্যা মোকাবেলার ক্ষেত্রে দর্শনের উপযোগ নিশ্চিত করার লক্ষে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে ফিবছর বিশ্বজুড়ে দর্শন দিবস পালন করা হয়। এই দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কো সদরদপ্তরসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও শিল্পবোদ্ধাদের বহুবিভাগীয় চ...

নিমকমহল মহেশখালী

সরওয়ার কামাল   অত্যাবশ্যকীয় হলেও খনিজ দ্রব্য হিসেবে লবণের উপযোগ শেক্সপিয়র রচিত ‘কিং লিয়ার’ নাটকের কনিষ্ঠ রাজকন্যা কর্ডেলিয়ার পিতৃপ্রেমের মতো; খুব বেশি নয়, আবার কমও নয়। অতীতে সামাজিক মর্যাদা, ক্ষমতা ও সম্পদের উৎস বলে বিবেচিত লবণ এখনো ভোজ্য, শিল্প ও বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে সমাদৃত।পচননিবারক হিসেবেও লবণের ব্যবহার ঐতিহাসিকভাবে অতি প্রাচীন। লবণের আছে নানা প্রকার; যার মধ্যে ভোজ্যলবণ, সোডিয়াম ক্লোরাইড, হলো সোডিয়াম ও ক্লোরিনের সমন্বয়ে গঠিত একটি আয়নিক যৌগ। উপকূলীয় অঞ্চলে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে খোলামাঠে উৎপাদিত অপরিশোধিত লবণে সোডিয়াম ও ক্লোরিন ছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম হ্যালাইড, সালফেট, শৈবাল এবং পলিকণা যুক্ত থাকে। সাগরের কিনারে থাকায় কক্সবাজার বাংলাদেশের প্রধান লবণ উৎপাদনকেন্দ্র। এখানে প্রায় ৫২০০০ একর ভূমিতে লবণ চাষ হয়। অপরিশোধিত লবণের ক্ষেত্রে জাতীয় উৎপাদনের ৯৫% কক্সবাজারে উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে কেবল মহেশখালীতেই উৎপাদিত হয় ৩০% (প্রায়)। মহেশখালীর দুইলক্ষাধিক লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লবণ উৎপাদনে জড়িত। জাতীয় উৎপাদনের হিসেব নিলে দেখা যায়, ৮টি জোনে প্রায় ৫ লক্ষ লোক উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্...

শাহ আবদুল মোস্তফা স্মরণে

  মাস্টার শাহ আবদুল মোস্তফা স্মরণে ....................... আজ ২৮ এপ্রিল, মাস্টার শাহ আবদুল মোস্তফার (১৯৬৭-২০০২) ২০তম মৃত্যু বার্ষিকী। প্রয়াত শাহ আবদুল মোস্তফা (নুরুচ শফি) ছিলেন প্রেরণাদায়ী শিক্ষক। নাতিদীর্ঘ জীবনে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে বৃত ছিলেন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। মোস্তফার জন্ম সত্তরের দশকে, মহেশখালীর জাগিরাঘোনা গ্রামের গোলালির ভিটায়। দু’দুটো মহাযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও মারির প্রভাব কাটিয়ে গোত্রমাতার যোজনায় যখন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়াস চলছে, তখন তার আবির্ভাব পরিবারের কনিষ্ঠ ছেলে হিসেবে। শিক্ষিত চাচা-মামাদের নিস্পৃহতায় অনালোক গৃহকোণে তখনো জ্ঞানের পিদিম জ্বলছিল মা-খালাদের প্রবর্তনায়। সেই টিমটিমে পিদিমের পরশ পেয়ে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার নানা বৈতরণী পেরিয়ে, মেধার অবমাননা কিছুটা রুখে দিতে পেরেছিলেন তিনি। কাজেই, তার ক্যারিয়ার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির বিষমতায় ম্লান হওয়া সত্ত্বেও ব্যক্তিত্ব ছিল মননের বিভায় প্রোজ্জ্বল। বলাবাহুল্য, দারিদ্র্যক্লিষ্ট শৈশবে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে প্রতিভার বিকাশ রুদ্ধ হয়েছিল মোস্তফার। তবুও তার প্রতিভায় বৈচিত্র্যের কমতি ছিল না। লেখায়, বলায়, উপস্থাপনে, অংকনে, রন্ধনে এবং সর্বোপরি...