সরওয়ার কামাল অত্যাবশ্যকীয় হলেও খনিজ দ্রব্য হিসেবে লবণের উপযোগ শেক্সপিয়র রচিত ‘কিং লিয়ার’ নাটকের কনিষ্ঠ রাজকন্যা কর্ডেলিয়ার পিতৃপ্রেমের মতো; খুব বেশি নয়, আবার কমও নয়। অতীতে সামাজিক মর্যাদা, ক্ষমতা ও সম্পদের উৎস বলে বিবেচিত লবণ এখনো ভোজ্য, শিল্প ও বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে সমাদৃত।পচননিবারক হিসেবেও লবণের ব্যবহার ঐতিহাসিকভাবে অতি প্রাচীন। লবণের আছে নানা প্রকার; যার মধ্যে ভোজ্যলবণ, সোডিয়াম ক্লোরাইড, হলো সোডিয়াম ও ক্লোরিনের সমন্বয়ে গঠিত একটি আয়নিক যৌগ। উপকূলীয় অঞ্চলে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে খোলামাঠে উৎপাদিত অপরিশোধিত লবণে সোডিয়াম ও ক্লোরিন ছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম হ্যালাইড, সালফেট, শৈবাল এবং পলিকণা যুক্ত থাকে। সাগরের কিনারে থাকায় কক্সবাজার বাংলাদেশের প্রধান লবণ উৎপাদনকেন্দ্র। এখানে প্রায় ৫২০০০ একর ভূমিতে লবণ চাষ হয়। অপরিশোধিত লবণের ক্ষেত্রে জাতীয় উৎপাদনের ৯৫% কক্সবাজারে উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে কেবল মহেশখালীতেই উৎপাদিত হয় ৩০% (প্রায়)। মহেশখালীর দুইলক্ষাধিক লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লবণ উৎপাদনে জড়িত। জাতীয় উৎপাদনের হিসেব নিলে দেখা যায়, ৮টি জোনে প্রায় ৫ লক্ষ লোক উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্...
Philosophical and Cultural issues.