Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2023

মহেশখালীর ইতিহাস: পুরাণ, মানে ও বাস্তবতা

সরওয়ার কামাল *   মহেশখালীর ইতিহাস চট্টগ্রামের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই তিমিরাবৃত, আজ অবধি অবহেলিত, বলা যায় প্রায় অনুদ্ঘাটিত; তাই সার্বিক অর্থে অসম্পূর্ণ। শুধু মহেশখালী নয়, বৃহত্তর পরিসরে চট্টগ্রাম প্রসঙ্গেও এমন লিখিত বর্ণনা পাওয়া যায় না, যা স্থানীয় ইতিহাসের নমুনা হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ। দীর্ঘকালব্যাপী বাংলা, ত্রিপুরা ও আরাকানের ত্রিমুখী দ্বন্ধে সদাপরিবর্তনশীল রাজনৈতিক ভূগোলে মহেশখালীর অবস্থান ছিল অতিশয় গৌণ, প্রান্তবর্তী, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং বসতিবিহীন । টলেমি, চেঙ্গ হো, ইবনে বতুতা, জন ডি সিলভেইরা, সিদি আলি ছেহলভি, রালফ ফিচ, সেবাস্টিয় ম্যানরিক এবং সিজার ফ্রেডেরিক প্রমুখ বিদেশি পরিভ্রাজকের দিনলিপিতে উল্লেখ না থাকায় মধ্যযুগের ইতিহাসে এই দ্বীপের হদিস পাওয়া যায় না। জে ডি বারোস, জেমস রেনেল ও ফ্রান্সিস বুকানন যদিও এই দ্বীপের কথা উল্লেখ করেছেন, তবুও বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেইসব নামের ভিন্নতা, যা দিয়ে তারা মহেশখালীকে নির্দেশ করতে চেয়েছেন। ইতিহাসে উল্লেখিত বেশকিছু নাম সম্ভাব্য মহেশখালী বলে অনুমান করা যায়, যার মধ্যে মাছু, বাকাল, বাকোলা, মৈনাক, মাছুখালী, মেক্সাল, মাছখালী, মহিষখালি ও মহেশ...